আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১২৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে নিজদের প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রানের অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে আয়ারল্যান্ড।

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই আধিপত্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ৩৪ রানে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথমদিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক বিদায় নেন দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই। এরপর দলের রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্ব কাঁধে নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।

উইকেটের চারপাশেই দু’জন রানের ফোয়ারা ছিটাতে থাকেন। আইরিশ বোলারদের হতাশ করে বাড়তে থাকে স্বাগতিকদের রানের চাকা। দু’জন গড়েন শতরানের জুটি। দেশের পক্ষে এই নিয়ে পঞ্চমবার শতরানের জুটি গড়েন সাকিব ও মুশফিক। সাকিব পান টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফ সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের ঘরে পা রাখার পথেই এগুচ্ছিলেন সাকিব।

তার সাথে সমান তালে ব্যাট করছিলেন মুশফিকও। ব্যক্তিগত ৮৭ রানে আউট হন সাকিব। তবে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। চা বিরতির আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি পান এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

বিরতির পর মুশফিকের সাথে দলের রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন মেহেদি মিরাজ। এই অলরাউন্ডার পান হাফ সেঞ্চুরি। মুশফিক আউট হন ১২৬ রানে। মিরাজ ৫৫ রান করলে, প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা অলআউট হয় ৩৬৯ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে, স্বাগতিক দলের স্পিনারদের তোপের মুখে পড়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। সাকিব ও তাইজুলের স্পিনে সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। সাকিব ও তাইজুল দু’জনেই ২টি করে উইকেট পান। তাতে ইনিংস পরাজয়ের শংকায় পড়েছে আয়ারল্যান্ড। ইনিংস পরাজয় এড়াতে আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংসে করতে হবে ১২৮ রান, হাতে আছে ৬ উইকেট। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৭ রান।